What doesn’t kill you, makes you stronger!
What doesn’t kill you, makes you stronger!
- Friedrich Nietzche
Long Journey of self help
by Fahim Ahmed Shuvo
shuvofahim8@gmail.com
What doesn’t kill you simply, makes you a stranger!
- Joker ( Heath Ledger; Movie)

Graphics by Md Wakif Alam (wakif.alam@gmail.com) &
Aquib Rezwan (aquibrezwan0@gmail.com)
যখনি মেন্টাল হেলথ নিয়ে কথা বলতে যাই, সদা সর্বদা The Dark Knight এর কথা মনে পড়ে। কি দুর্ধর্ষ এক্টিং করেছিলো জোকার চরিত্রে হিথ লেজার। প্রথমবারের মতো কোন সুপারহিরো ফিল্মের ক্যারেক্টার অস্কারের নমিনেশন পেলো এবং দিনশেষে অস্কার পেলোও। কিন্তু অস্কার দেয়ার সময় উপস্থাপক বললেন, “Today, he is not among us.” জনপ্রিয়তার শীর্ষে ওঠা একজন অভিনেতার আত্নহত্যা।
Shine on
You crazy
Diamond
- Pink Floyd ( Album: Wish you were here )
যারা Pink Floyd কে চেনেন না তারা এই লোগো টা নিশ্চয়ই চিনে থাকবেন। উপরে ওদেরই গানের একটি লাইন দেয়া। প্রথম অক্ষর গুলো যেগুলো ক্যাপিটাল করা, এটা একটা “intended Anagram” উচ্চারণটা হয় SYD (সিড), যারা পপ কালচারের সাথে জড়িত তারা চিনে থাকবেন Syd Barrett কে। Pink Floyd এর প্রথম কয়েকটি অসাধারণ গিটার আর কণ্ঠের কাজ দিয়ে বিশ্বকে পুরো ইংল্যান্ড আমেরিকাকে মাতিয়ে দিয়েছিলো Syd Barrett. প্রচুর খ্যাতির চূড়ায় উঠে ইনি শুরু করলেন LSD সেবন, সেই থেকে বেপরোয়া জীবন। ফলশ্রুতিতে ব্যান্ড থেকে বিতারণ এবং কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া। মারা গেলেন ডিপ্রেশনে ভুগে, অসুস্থ হয়ে। উনাকে নিয়ে লিখা আরও একটি লাইন আছে,
“You are caught in the crossfire of childhood and stardom”
মেন্টাল হেলথ কিভাবে ঠিক রাখতে হবে তার দশটি উপায় - এহেন লিখা লিখতে ইচ্ছা হলো না। কেননা কেবল দশটি উপায়ে যদি মনের খোরাক ঠিক করাই যেত তাহলে আর কেউ আত্নহননের পথ বেছে নিতো না। কোন সমস্যা সমাধান করতে হলে সমস্যাটির মূলে তাকাতে হয়। চলুন আমরা মেন্টাল হেলথ ঠিক না রেখে মেন্টাল হেলথকে কারা বিগড়ে দিচ্ছে তাদের আদ্যোপান্ত জেনে নিই। কারা এর মূল হোতা? - এদের চিনলেই দমনে "দশটি উপায়" নেয়া যাবে।
আমার ছোট ভাই Michael Jackson কে ছোট বেলায় Preposition, Conjunction, Interjection এর মতো parts of speech মনে করতো। হেসে খুন হতাম আমি। বেচারাও প্রথমে অসহায় এর মতো তাকিয়ে তারপর হেসে খুন হতো। কিন্তু এখন আর ও ভুল করে না। ওর এই গল্প আমি কারো কাছে করলে সে খুব লজ্জা পায়। আড্ডার মাঝে তুললে তো নিজেকে গুটিয়েই নেয় এখন। আত্নমর্যাদাবোধ চলে এসেছে ওর মধ্যে। কিশোর সে এখন। সে জানে পুরুষদের হৃদয় হতে হয় ইস্পাতের মতন দৃঢ়। কিন্তু ছেলেটা হাসতেই যেন ভুলে গেছে। আগে যেমন প্রাণ খোলা হাসি হেসে দুজন গড়াগড়ি খেতাম এখন আর তেমন হয় না। ও এখন হাসে না।
এ ঘটনার সাথে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক খুঁজছেন তো? আমি বলছি।
পুরুষদের হতে হয় ইস্পাত দৃঢ়। বুক ফাটবে কিন্তু মুখ ফুটবে না। পুরুষরা কাঁদে নাকি? - এসব stereotypes আমাদের অনেকের মুখের হাসি, চোখের কান্না সবই কেমন ম্লান করে দিচ্ছে
চব্বিশে ডিগ্রী, পঁচিশে চাকরি, ত্রিশে গাড়ী - এই সুরে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মা বাবার মমতা, প্রেমিকার হাতে হাত ধরে হাঁটা কিংবা রিকশায় ঘোরাঘুরি। মনের খোরাক কোথায়?
এই সুরের সূত্রটা যখন মিলছে না, রিটেকের হতাশা, চাকরির দুষ্প্রাপ্যতা, সরকারি চাকরির বয়স পার হয়ে যাওয়া নিয়ে যখন আমাদের দুশ্চিন্তায় মাথার চুল সব পড়ে ত্রিশেই টাক হওয়া শুরু হয়েছে এমন সময়ই হঠাৎ শোনা গেলো প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে কোন সরকারি চাকুরে বা ধনাঢ্য ছেলের সাথে।
ছেলেটা যখন সুর মিলাতে না পেরে পার্কে বসে থাকে তখন বাদামওয়ালা ও কাছে আসে না। কেননা বাদামওয়ালার চোখে বিরহ বোঝার শক্তি নেই, তবে পকেটে পাঁচ টাকার অবস্থান আছে নাকি নেই সে মুখ দেখেই বলে দিতে পারে।
Stereotype আমাদের জীবনকে গ্রাস করে দিচ্ছে। আমরা গ্রাস হচ্ছি। কিন্তু কিছু করতে পারছি না। কেননা আমরা নিজেরাই আমাদের নিজেদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। সুর মিলাতে চাচ্ছি কিন্তু গিটার টাই বিক্রি করে দিয়েছি বাবার ঔষধের জন্যে। হাতে পেইন্ট ব্রাশ নিয়ে দেয়ালিকা আকা আমি আজ কাঠি দিয়ে মাটিতে যোগ বিয়োগ করছি মাসের খরচের হিসাব।
ভালো থাকাটা যে কি সেটাই stereotype এর অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছে। প্রচুর টাকা, ভালো চাকরি, বিদেশ ভ্রমণ, সেমিনারে মোটিভেশন দেয়া, গুলশানের ফ্ল্যাটে থাকা - এসব আমাদের কাছে ভালো থাকার চাবিকাঠি হয়ে গেছে। Stereotype হয়ে গেছে। আমাদের মানসিক প্রশান্তির জায়গাটায় যেখানে সঙ্গীত, ছবি, প্রেমিকার হাত ধরে ঘোরাঘুরি থাকার কথা সে জায়গাটা এখন দখল করে নিয়েছে গুটিকয়েক টাকা, কিছু মানুষের দেখানো মিথ্যা স্বপ্ন আর "ভালো থাকতে চাওয়ার নিদারুণ চেষ্টা।" আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করবেন যখন, "আমি ভালো আছি তো?" - নিজের উত্তর নিজে শুনে যদি ভয় পেয়ে যান তাহলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ নয়। এবং এর মূলে আছে stereotypes.
একদম উপরে দুটো গল্প দিয়ে শুরু করেছিলাম লিখাটা। একটা গল্পে ছিল হিথ লেজার, আরেকটি গল্পে সিড ব্যারেট। উনারা দুজনে stereotype থেকে বের হয়ে এসেছিল। কিন্তু বের হয়ে এসে জড়িয়ে গেলো Stardom Stereotype এ। মানতে পারলো না তারা এই সামাজিক বাঁধাধরা। অসামাজিক করে নিলো নিজেকে। দ্বিধাহীন ভাবে জীবন যাপন করতে চেয়েছিল, যুঝতে চেয়েছিল সামাজিক সকল শিকল এর সাথে। ভেঙ্গে দিতে চেয়েছিল সকল প্রতিকূলতা। কিন্তু সমাজ তা মেনে নেয়নি। তাদেরকে একের পর এক stereotype এর মধ্যে পড়তে হল। মেনে নিতে পারলো না তারা। বেছে নিলো মরণ পথ।
খুব গ্লোরিফাইড মনে হচ্ছে তাদের মৃত্যু? যদি তাই মনে হয়ে থাকে তাহলে আমি বলছি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। আপনার এখনি যত্ন নিতে হবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের। সূত্র না মিলিয়ে মনের খোরাক ঠিক করুন। এক কাপ গরম চা এ ফুঁ দিতে দিতে চিন্তা করুন, চা টা বেশি ঠাণ্ডা হয়ে গেলে যেমন আপনি শরবত ভেবে ফেলে দেন তেমনি আপনি নিজের জীবনে মনের খোরাক না জাগিয়ে মন টাকে ওমনি ঠাণ্ডা করে দিচ্ছেন কিনা?
প্রতিদিন সময় করে হাসুন। কারণে অকারণে। গান গাইতে গাইতে হাসুন, কথা বলতে বলতে হাসুন, প্রিয় বন্ধু কে গালি দিয়ে হাসুন, প্রেমিকার হাত ধরে হাসুন, বাদামওয়ালাকে ডাক দিয়ে বলুন;
What doesn’t kill you makes you stronger.
connect.panda.bd@gmail.com
Follow us on: Facebook . Instagram . LinkedIn
Comments
Post a Comment